পশ্চিমবঙ্গের নবগঠিত জেলাগুলির মধ্যে ঝাড়গ্রাম অন্যতম। এই জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ। আজকে বলব কীভাবে আপনারা সঠিকভাবে ঝাড়গ্রাম ঘুরতে পারবেন। যদিও ঘোরার পদ্ধতি প্রত্যেকের আলাদা আলাদা, তাও মোটামুটিভাবে সাধারণ একটা ধারণা আমরা আজ এই পোস্টে দেবো। দিন হিসেবে কেমন প্ল্যান করলে ঠিকঠাক ঘোরা যাবে, তারও বিবরণ থাকলো।
দেখার কী আছে?
ঝাড়গ্রাম মূলত পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের জেলা। সীমানা লাগোয়া রাজ্য ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশা। স্বাভাবিকভাবেই এই অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটাই আলাদা। এখানকার মাটি সাধারণত পাথুরে ও লাল। শক্ত মাটিতে যেসব গাছ ভালো হয় তাদের সংখ্যা এখানে বেশি। যেমন শাল, পলাশ, মহুয়া, সেগুন ইত্যাদি। এখানে দেখতে পাবেন শালের ঘন জঙ্গল। এছাড়াও আছে কাষ্ঠল লতার অরণ্য। রয়েছে কম উচ্চতার পাহাড়, পাহাড়ী ঝরণা, একাধিক নদী এবং হ্রদ। মোট কথা হল ঝাড়গ্রামে দেখার জিনিস বলতে মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। তবে এগুলি ছাড়াও রয়েছে প্রাচীন কণকদুর্গা মন্দির, বড় চিড়িয়াখানা, ভেষজ উদ্যান, আর বিখ্যাত রাজবাড়ি৷ আর শহরটাও খুব সুন্দর একটা দিন ঘুরে দেখার জন্য।
ঝাড়গ্রামে কীভাবে পৌঁছবেন?
ঝাড়গ্রাম পৌঁছনোর উপায় দুটি। সড়কপথ আর রেলপথ। সড়কপথে কলকাতা এবং রাজ্যের অন্যান্য স্থানের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। বাইকেও আসা যায়। রাস্তা খুবই ভালো। কলকাতা থেকে সড়কপথে ঝাড়গ্রামের দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার৷ রাজ্য পরিবহন সংস্থার বাস চলে, কিন্তু সড়কপথে সবথেকে ভালো লাগবে বাইকে এলে। প্রাইভেট গাড়িও প্রচুর আসে৷ এটা আপনাদের পছন্দ ও সুবিধে অনুযায়ী বেছে নিতে হবে।
অন্যদিকে, রেলপথে ঝাড়গ্রাম আসা খুব সহজ। হাওড়া-মুম্বাই রেলপথে ঝাড়গ্রামের অবস্থান। কলকাতা থেকে আসতে হলে হাওড়া স্টেশন থেকে বিকেলের স্টীল এক্সপ্রেস বা সকালের ইস্পাত এক্সপ্রেস সবথেকে ভালো। মাত্র ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়া অন্য অনেক ট্রেন রয়েছে। টাটানগর, রৌরকেল্লা, পুরুলিয়া ইত্যাদি জায়গার সাথেও রেল যোগাযোগ আছে। মেদিনীপুর বা বাঁকুড়ার দিক থেকে আসতে হলে খড়গপুর এসে ট্রেন পাল্টে ঝাড়গ্রাম আসার ট্রেন ধরতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে ট্রেনকেই আমরা বেশি পছন্দ করি। আপনারাও নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী আসতে পারেন।
Debsankar Giri (youtube : Bong Solo Traveller)
No comments:
Post a Comment